BCS PICKED UP ONLY MONTHS TO PREPARE(PRELIMINARY) EXAMINATION TECHNIQUE IS EASY TO PASS

BCS PICKED UP ONLY MONTHS TO PREPARE(PRELIMINARY) EXAMINATION TECHNIQUE IS EASY TO PASS(মাত্র ২ মাসের প্রস্তুতিতে বিসিএস বাছাই (প্রিলিমিনারী) পরীক্ষায় পাস করার সহজ কৌশল ।)

 


Dolar Riyad
সহকারী কর কমিশনার
বিসিএস(কর) (৩৩তম বিসিএস)
——————————————————————————————-


আপনাকে প্রথমেই মনে রাখতে হবে বাছাই পরীক্ষা একটি ম্যাজিক গেম, এখানে আপনি প্রচুর প্রস্তুতি থাকার পর ও পাস নাও করতে পারেন আবার প্রস্তুতি কম থাকার পর ও পাস করতে পারেন। এই পাস করার ব্যাপার টা নির্ভর করছে বাছাই পরীক্ষা নামক ম্যাজিক গেম এর নিয়ম অনুযায়ী খেলা। যেমন ক্রিকেট খেলায় লুজ বল দেয়া হয় সেখানে ব্যাটসম্যান সঠিক কৌশল প্রয়োগ করলে ৪ বা ৬ মারতে পারে আবার সঠিক কৌশল প্রয়োগ না করলে ক্যাচ আউট বা রান আউট হয়ে যায়। এখন সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে আপনি কি কৌশলে এই ম্যাজিক গেম এ পাস করবেন।
আমার পূর্বের অভিজ্ঞতা ( অবশ্যই তিক্ত অভিজ্ঞতা ) অনুযায়ী আপনাদের জন্য কিছু টিপসঃ

> প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য সহজ চিন্তা করুন, প্রস্তুতিও তত সহজ হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য যত বেশী জটিল চিন্তা করবেন , প্রস্তুতি নেওয়াও তত কঠিন হবে।
পরিকল্পনা করে পড়ুন, নিজস্ব সাজেশান করুন প্রিলিমিনারি পাস নিশ্চিত।
> নিয়মিত আল্লাহ্র কাছে পরীক্ষায় পাস করার জন্য দোয়া করবেন কারণ আপনি যতই জ্ঞানী ব্যক্তি হউন আল্লাহ্ না চাইলে আপনি কোন দিন ই পাস করবেন না ।


> প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ফেসবুক এর বিভিন্ন গ্রুপ থেকে MCQ প্রশ্ন পড়ার জন্য চেষ্টা করবেননা এতে আপনি সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। কারন যতক্ষণ আপনি ফেসবুক এর বিভিন্ন গ্রুপ থেকে এই ধরণের আতলামি করবেন ততক্ষণ যদি বই থেকে পড়েন তাহলে ৫০টি প্রশ্ন বেশি শিখতে পারবেন। আবার কোন ধরণের সফটওয়্যার কিনে কম্পিউটার থেকে পড়ার চেষ্টা করবেন না। করলে আপনি নিশ্চিত পিছিয়ে পড়বেন ।
> পরীক্ষার হলে পাশের লোকের সাথে ভাব করবেন না কারণ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যা সঠিক উত্তর
পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশী ভুল উত্তর পাওয়া যায় যা ফেল করার জন্য যথেষ্ট !!!!
> প্রিলিমিনারি পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, পরীক্ষার হলে খাতির বা পাতানো বন্ধুত্ব না করা। যাকে আপনি কোন দিন দেখেন নি, জানেননা, তার কাছ থেকে কিভাবে আপনি সঠিক উত্তর আশা করবেন ? ৩৩তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় আমার সামনে এক লোক বসেছিলেন, যথারীতি আমার সাথে খাতির ও করেছেন, আমি বিষয়টা বুঝতে পারলাম কেন খাতির করছেন। তাঁকে প্রশ্ন করলাম আপনি কোন বিষয় থেকে পাশ করেছেন ? তার উত্তর বাংলা বিষয় থেকে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি কথা বলা শুরু করে দিলেন। আমিও তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য বাংলার কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম ! তিনি সব গুলোর উত্তর ই ভুল বলেছিলেন !!! আমিও তাঁর সম্পর্কে বুঝে গেলাম।
একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি অনেক পরিশ্রম করে একটি প্রশ্ন কমন পেলেন, দেখা গেল ঐ প্রশ্ন টি কমন পাওয়ার জন্য আপনি ঠিক দুই সপ্তাহ পরিশ্রম করেছেন, কিন্তু পরীক্ষার হলে আপনার পাতানো বন্ধুর দুটি ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য আপনি নেগেটিভ মার্ক হিসেবে এক মার্ক কম পেলেন। সবশেষে ধুরুন কাট মার্ক থেকে আপনি এক মার্ক কম পাওয়ার কারণে আপনি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করলেন না !!!

> পরীক্ষায় কোন ভুল উত্তর দিবেন না ।
> প্রিলিমিনারি তে মনে রাখতে হবে যা পারিনা তা পূরণ করবনা। কারণ লোভে ভুল, ভুলে ফেল। একবার আন্দাজে পূরণ করা শুরু করলে সব পূরণ করার লোভ সামলানো যায়না।
> আমার অনেক বন্ধু কে দেখি তাঁরা বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকে, কিন্তু পরিকল্পনা করে পড়া বা প্রস্তুতি নেয় না। যার ফলে প্রস্তুতি ও শেষ হয় না। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করার একটি উপায় হচ্ছে একটি বিষয় কয়েক দিন ধরে পড়া, অর্থাৎ প্রথমে একটি কাগজে নোট করবেন কি কি আপনি পারেন না। সেগুলো ১ ২ ৩ ৪ …… করে সিরিয়াল করে লিখে টেবিলের সামনে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিবেন । তারপর পড়া শুরু করে দিবেন। যেই অধ্যায় আপনি শেষ করে ফেলবেন সেই অধ্যায় ক্রস করে দিবেন। দেখবেন কেমন আত্মতৃপ্তি পান । আমি তো আমার রুমের দরজা থেকে শুরু করে টেবিলের সামনের দেওয়াল সব খানে আঠা দিয়ে কাগজ লাগিয়ে রাখতাম। এখনো তার কয়েক টি ঝুলে আছে ।
.
.
.
.
.



.
.
……………বিষয় ভিত্তিক পরামর্শ…………
৩৫তম বিসিএস এর বিজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রশ্ন করা হবে ১০টি টপিক এর উপর। দেখতে বিশাল টপিক হলেও বাস্তবে এটি কোন বিশাল কিছুই না ! কারন এই টপিক গুলো আগেও ছিল শুধু মান বণ্টন টা এই বার বৃদ্ধি করেছে আর নতুন করে দুটি টপিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাছাই পরীক্ষায় নতুন প্রশ্নের মান বণ্টনঃ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫
বাংলাদেশ বিষয়াবলি- ৩০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- ২০
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- ১০
সাধারণ বিজ্ঞান-১৫
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি- ১৫
গাণিতিক যুক্তি- ১৫
মানসিক দক্ষতা- ১৫
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন- ১০
মোট=২০০ মার্ক ।

কিভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন ?
> আবার বলছি, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য সহজ চিন্তা করুন, প্রস্তুতিও তত সহজ হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য যত বেশী জটিল চিন্তা করবেন , প্রস্তুতি নেওয়াও তত কঠিন হবে।
পরিকল্পনা করে পড়ুন, নিজস্ব সাজেশান করুন প্রিলিমিনারি পাস নিশ্চিত।
আপনাকে পাস করার জন্য ১২০ থেকে ১৩০ মার্ক পেতে হবে। অনেকেই মনে করছেনঃ এত কম মার্ক ? এই মার্ক তো সবাই পাবে !



না ১২০ থেকে ১৩০ কোন সহজ মার্ক নয়। এই রেঞ্জের মার্ক ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার জন পাবে।
অর্থাৎ অনেকেই ১৩০ পর্যন্ত মার্ক পাবে কিন্তু তারা নেগেটিভ মার্ক এর কারণে ১০০ মার্কের নিচে চলে যাবে !!!!



কিভাবে শুরু করবেন তা বলার আগে একটি বিষয় খেয়াল করুন > সময় কিন্তু আর বেশি নেই সেই ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আপনাকে পরিকল্পনা করে পড়তে হবে এবং সব থেকে কম সময়ে বেশি মুখস্ত করতে হবে।
আর যে বিষয়গুলো চেনা জানা সেই বিষয়গুলো আগে শেষ করতে হবে। আমার দৃষ্টি কোন থেকে কোন কোন বিষয় আগে প্রস্তুতি নিবেন তা নিন্মে সিরিয়াল অনুযায়ী উল্লেখ করলাম।

১) সাধারণ বিজ্ঞান-১৫
২) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি- ১৫
৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলি- ৩০
৪) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- ২০
৫) গণিতিক যুক্তি- ১৫
মানসিক দক্ষতা- ১৫
৬) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫
৭) ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য- ৩৫
৮) ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা- ১০
৯) নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন- ১০









১) সাধারণ বিজ্ঞানঃ আমার মতে আপনি বিজ্ঞান বিষয় প্রথমে পড়া শুরু করবেন। এই বিষয় থেকে আপনি ১৫ মার্ক কমন পাবেন। আর এই বিষয়ের প্রশ্ন হুবহু কমন আসে। বিজ্ঞান বিষয় পড়ার জন্য বোকার মত সকল শ্রেণির বই মুখস্ত করার দরকার নেই, যেখানে রেডিমেট প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায় সেখানে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।
বিজ্ঞান বইয়ের জন্য দেখুনঃ ওরাকল প্রিলিমিনারি বিজ্ঞান বা MP3 বিজ্ঞান । এই বিষয় পড়তে হবে যেই সব প্রশ্নগুলো বিগত বছরে এসেছে সেইসব প্রশ্নগুলো অর্থাৎ ওরাকল প্রিলিমিনারি বিজ্ঞান বা MP3 বিজ্ঞান বইয়ের মধ্যে যেই সকল রিয়েল প্রশ্ন দেয়া (ক্যাডার ও নন ক্যাডার) আছে সেইসব গুলো ।




২) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিঃ ২) কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি এই বিষয়ের নামটা দেখতে যত আতঙ্কের মনে হচ্ছে আসলে এই বিষয় টা অত্যন্ত সহজ ও মজার। কারন আপনি এখন ফেসবুক এর মাধ্যমে আমার এই লেখাটি পড়ছেন ! আপনার কাছে কি কঠিন মনে হচ্ছে ? বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির উপর যেসকল প্রশ্ন এসেছে শুধু তাই পড়বেন, এর বাহিরে দেখার দরকার নেই ।





৩) বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিঃ বাংলাদেশ বিষয়াবলি + আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশ্ন কমন পাওয়ার বিষয় । এতে আপনি ৫০ এ ৪৫ মার্কই কমন পাবেন !! এই বিষয়ে পড়ার জন্য একটু পরিকল্পনা করে পড়তে হবে । প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর জন্য “আজকের বিশ্ব” বা “নতুন বিশ্ব” এই জাতীয় বই না পড়ে বরং জব সল্যুশন থেকে সব গুলো নোট করে পড়তে পারেন। কারণ “আজকের বিশ্ব” বা “নতুন বিশ্ব” এই সব বইয়ের মধ্যে যত তথ্য আছে তা আপনি মুখস্ত করে ধরে রাখতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে, আবার কষ্ট করে মুখস্ত করলেন দেখবেন আপনি হলে গিয়ে তথ্যের ঠ্যালায় উত্তর দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন। আর যারা জব সল্যুশন থেকে সব গুলো নোট করে পড়েছেন তাঁরা সবচেয়ে বেশী সঠিক উত্তর দিয়েছেন। কারণ আপনি যখন জব সল্যুশন পড়বেন তখন আপনি নিজেই আবিষ্কার করে ফেলবেন কিভাবে প্রশ্ন করে আর কোন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় বারবার আসে।

আপনি জব সল্যুশন টা যখন পড়বেন তখন নোট করুন আর উত্তর টা খাতার একদম ডান পাসে লিখে স্কেল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রিভিশন দিন।

জব সল্যুশন কিভাবে নোট করবেন ? বা কিভাবে পড়বেন ?
জব সলুশন পড়ার সময় বিষয় অনুযায়ী নোট করবেন । যেমন যখন বিজ্ঞান পড়বেন তখন প্রথম থেকেই জব সল্যুশন এর শুধু বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা প্রশ্ন উত্তর এক লাইনে লিখবেন ।

আবার যখন ঐ প্রশ্নটা রিপিট পাবেন তা আর লিখতে হবে না । এই ভাবে পুরো বিজ্ঞান টা একটা খাতায় ক্রমিক নং অনুযায়ী ১,২,৩,৪,…… করে নোট করে নিবেন এরপর জব সলুশন না খুলে শুধু ঐ খাতাটা পড়বেন । এতে করে বারবার জব সলুশন এর পৃষ্ঠা উল্টানো লাগবেনা । আর খুব সহজেই কয়েক দিনের মধ্যে বিজ্ঞান শেষ করে পেলতে পারবেন । এই ভাবে সব বিষয় নোট করবেন , এতে করে আপনি নিজেই নিজের জন্য প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন । সাধারণ জ্ঞান এর জন্য দেখুনঃ জব সলুশন + ১০-৩৪ এর প্রশ্ন + কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ।

(পুনশ্চ জব সল্যুশন থেকে পড়তে হবে ১৯৯৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সকল ক্যাডার ও নন ক্যাডার প্রশ্ন অর্থাৎ শুধু বিসিএস নয় সকল পরীক্ষার প্রশ্ন দেখতে হবে।)




৪) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতাঃ এই বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আপনি গণিত বই সমাধান চ্যাপ্টার অনুযায়ী করবেন । তাহলে আপনি গণিতের প্রশ্নের ধরণ টা খুব সহজেই আবিষ্কার করতে পারবেন , বুঝতে পারবেন গণিত প্রশ্ন কিভাবে করে ! তার রহস্য টা কি ! গণিত এ ভালো করার জন্য ক্যালকুলেটর এর ব্যাবহার না করেই কিভাবে গণিত যাতে গণিত করা যায় সেজন্য অনুশীলন করে রাখুন। গাণিতিক যুক্তি বিষয়ের জন্য দেখুন অ্যাসিওরেন্স এর গণিত ও মানসিক দক্ষতা । আরেকটি বই কিনবেন শর্টকাট ফরমুলা শেখার জন্য তা হল এক্সক্লুসিভ ম্যাথ , মধুমতি প্রকাশনির।





৫) বাংলা ভাষা ও সাহিত্যঃ এই বিষয়ের জন্য একটু কষ্ট করতে হবে, কারন এই বিষয়ে ভুল করার বা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি !!! এই ২ মাসে ভালো প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সহজ পন্থা হচ্ছে জব সল্যুশন থেকে নোট করে পড়তে হবে ১৯৯৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সকল ক্যাডার ও নন ক্যাডার প্রশ্ন অর্থাৎ শুধু বিসিএস নয় সকল পরীক্ষার প্রশ্ন দেখতে হবে। সাথে MP3 বাংলা থেকে সব কিছু পড়তে হবে ।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য অনেকেই বাংলার উপন্যাস, কবিতা, ইত্যাদি জন্য সমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা পড়েন এটি আমি সমর্থন করিনা কারণ এক সময় সমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা আমি পুরো মুখস্ত করেছিলাম এতে করে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করে না কারণ মাথায় তখন অনেক উত্তর ঘুর ঘুর করে, যেমন উত্তর কি এইটা না ওইটা !
সমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা হচ্ছে একধরনের ডিকশনারী । এতে প্রত্যেক লেখকের প্রায় সব সাহিত্য কর্মের নাম সাল দেওয়া আছে। যা আপনার গবেষণা বা লেখালেখি তে সহায়তা করবে, কিন্তু প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কারো পাণ্ডিত্য দেখানোর জায়গা নয়, সেখানে আপনি যতই জ্ঞানী লোক হওন কোন লাভ নেই আপনি ফেল যদি না আপনি কাট মার্ক এর নাম্বার না পান। তাই আপনার দরকার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস , আর পাস করার জন্য দরকার সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন কমন পাওয়া ও সঠিক উত্তর দেওয়া। আর আপনি প্রশ্ন কমন পেলেন কিন্তু বিভ্রান্ত হয়ে ভুল উত্তর দিলেন বা দিতে পারলেন না তা হলে সমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা পড়ে কি লাভ ?






৬) ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যঃ ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এই বিষয়ের জন্য একমাত্র পরামর্শ হচ্ছে English for competitive exam, professor
এই বইটা কে পীর মনে করে পড়ুন অবশ্যই আল্লাহর নাম নিয়ে ভালো করবেন ।
আর এই বই থেকে প্রায় সব কমন পাবেন । বিশেষ করে রিয়েল প্রশ্ন একটিও বাদ দিবেন না ।



বাকি থাকল ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ।
এই খানে মোট মার্ক হচ্ছে ২০। এই বিষয় দুইটা যেহেতু নতুন সেহেতু এই গুলো আপনার কমন সেন্সের উপর ছেড়ে দিন। আর এই ২০ মার্ক এ কি আসবে বা কি আসবে না তা নিয়ে চিন্তা না করে বাকি ১৮০ মার্ক নিয়ে চিন্তা করুন। বোকার মত ২০ মার্কের জন্য ২ মাস অনিশ্চিত পড়ালেখা করার কোন মানে হয় না ।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হচ্ছে T20 খেলা , পরীক্ষার হলে স্পিন বল মানে কথা বলার সুযোগ পেয়ে পাশের জন থেকে কপি মারলেন মানে মনে মনে ছক্কা মারলেন কি খুশী ভাব, ২০ বা ২৫ দিন পর ফলাফল দিলে দেখবেন আপনি ক্যাচ আউট ! আবার অপেক্ষা করবেন কবে আসবে পরের সার্কুলার !
সবশেষে আল্লাহ্র কাছে আপনার সফলতা কামনা করছি ।




Previous
Next Post »

Popular Posts